জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (NSI) এর সহকারী পরিচালক পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান – ২০১৯
পদের নামঃ সহকারী পরিচালক.
NSI (National Security Intelligence) Assistant Director Written Exam question and solution – 2019.
Post: Assistant Director
বাংলা অংশ সমাধানঃ
১। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ঢাবিতে পড়া ছোট ভাইকে পত্র লিখুন।
নিজের মত করে উত্তর লেখাই ভাল।
২। ভাব সম্প্রসারণঃ “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।”
মূলভাব : জ্ঞান না থাকলে বুদ্ধি আসে না আর বুদ্ধি ছাড়া মুক্তি আসতে পারে না।
সম্প্রসারিত-ভাব : মানুষের জ্ঞান তার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মানুষের এ সম্পদের কোন বিনাশ নেই। এ সম্পদ মানুষকে বুদ্ধির গভীরে প্রবেশের পথ খুলে দেয় এবং তখন মানুষ অতি সহজেই তার মুক্তির পথ খুঁজে নিতে পারে। বলা হয় , জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান । পশুর সাথে মানুষের পার্থক্য হল মানুষের বুদ্ধি ও বিবেক আছে আর পশুর বুদ্ধি ও বিবেক নেই। জ্ঞানহীন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিগুলো সঠিকভাবে বিকশিত হয় না। আর হয় না বলেই সে আপনার ভালোমন্দ, ন্যায় অন্যায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারে না। জ্ঞান আর বুদ্ধির এ সীমাবদ্ধতাহেতু তাকে প্রতিনিয়ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, জ্ঞানবান ব্যক্তি তার যুক্তির নিরিখে অনেক কঠিন বিষয়কেও নিজের জন্য এবং অপরের জন্য সহজতর করে ধরে তুলতে পারেন। এ কথাটি ব্যক্তির জীবনে যেমন সত্য, তেমনি জাতির জীবনেও সত্য। কোন জাতির লোকেরা যদি জ্ঞানের চর্চা না করে তাহলে সে জাতি কোন দিন উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। জাতীয় জীবনে জ্ঞানচর্চার উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসে। তখন অনেক মেধার অপচয় হয়। কোন জাতি যখন মেধার এ অপচয় রোধ করে জ্ঞান ও মেধার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে, তখন সে জাতির মুক্তি ও উন্নতি নিশ্চিত। অন্যথায় তাদের পিছিয়ে পড়া ছাড়া কোন পথ নেই। তাছাড়া পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেও আমরা এর সত্যতা দেখতে পাই।
তাই জাতীয় মুক্তি ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত জনগণের বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকাশ। এর জন্য চাই জ্ঞানের চর্চা ও গুণীর কদর। এটা যত ব্যাপক হবে জাতীয় মুক্তি ও অগ্রগতিও ততই ত্বরান্বিত হবে।
অথবা ‘শৈবাল দীঘিরে কহে উচ্চ করি শির; লিখে রেখ, একবিন্দু দিলেম শিশির’
মূলভাব: এ জগতে এমন কিছু লোক আছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করে না। বরং তারা সমান্য উপকার করতে পারলেই উপকৃত ব্যক্তির কাছে তার উপকারের কথাটি প্রচার করে বেড়ায়।
সম্প্রসারিত ভাব: এ জগতে সকলের সামর্থ্য সমান নয়। শক্তি ও কর্মদক্ষতায় মানুষে মানুষে বিরাট পার্থক্য। কেউ কেউ বিরাট শক্তির অধীশ্বর; ব্যাপক অবদানের মাধ্যমে এ পৃতিবীবাসীর অশেষ কল্যাণ সাধন করেন। কেউ কেউ আবার সীমিত শক্তি নিয়েও জন্মগ্রহন করেন। যাঁরা মহৎ তাঁরা জীব ও জগতের কল্যাণ সাধনে ব্রতী হন। দিঘির জলেই শৈবালের জন্ম। অথচ দিঘির অগাধ জলে এক ফোঁটা শিশির বিন্দু ঢেলে শৈবাল দিঘিকে বলে, সে যেন তার দানের কথা স্মরণ রাখে-ভুলে না যায়।যার জলে শৈবালের জন্ম সামাণ্য উপকার শেষে তারই এমন দম্ভাযে মানুষ পরের উপকার করে শৈবালের মতোই তা সদম্ভে প্রচার করতে গর্ববোধ করে, উপবৃতকে অনুক্ষণ স্মরণ করিয়ে দিতে সংকোচ করে না, বুঝতে হবে তার হৃদয়ে মহত্ত্বের স্পর্শ নেই। তারা প্রশংসার কাঙ্গালম নিজেদের ক্ষুদ্রতা ঢেকে রাখতে তারা নিজেদের ঢাক নিজেরাই বাজিয়ে বেড়ান। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত উদার,মহৎ ও পরের সেবাব্রত বেছে নিয়েছেন; তারা জলেভরা দিঘির মতোই পরিপূর্ণতার আকার, যা তৃষিতের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য আবিরত। তারা তৃষিতে তৃষ্ণা মোচন করে আপনাকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েও শৈবালের মতো সেই দানের হিসেব লিখে রাখতে বলেন না। এখানেই ক্ষুদ্র ও মহৎ প্রানের পার্থক্য।
মন্তব্য: মহৎ ও উদার প্রাণের মানুষেরা পরোপকার কখনো গর্ববোধ করেন না। পরোপকারের মাঝেই তারা আত্মতৃপ্তি লাভ করেন।
৩। বাগধারা লিখুন (যে কোন ৫ টি):
সমাধানঃ
আক্কেল সেলামী-নির্বুদ্ধিতার শাস্তি/ বোকামীর দণ্ড
তালপাতার সেপাই-ক্ষীণজীবী
তাসের ঘর-ক্ষণস্থায়ী
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা-অনুরোধে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু বলা বা করা
একাদশে বৃহস্পতি-সৌভাগ্যের বিষয়
অক্কা পাওয়া-মৃত্যুবরণ করা
গোড়ায় গলদ-শুরুতে ভুল
সাধারণ জ্ঞান অংশ সমাধানঃ
১। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা লিখুন।
উত্তরঃ সূচনা:
“তোমরা সৎপথে থেকো।মাতৃভূমিকে ভালোবেসো।তোমরা শুধু সামরিক বাহিনীকে নও,এটা আমাদের জনগণের বাহিনী।”- বঙ্গবন্ধু।
বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনে সেনা,নৌ,বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রক্ত বেসামরিক জনগণের রক্তের সাথে ২৯৭১ সালে এক নদীর এক স্রোতে মিশে গেছে।কেউ কোনোদিন আর পৃথক করতে পারবে না।তাদের আত্মত্যাগ অজর, অমর,অক্ষয়,অব্যয় হয়ে থাকবে মহাপ্রলয়ের শেষ রজনী পর্যন্ত।
বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী:
“জনগন শান্তিতে ও নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাপন করে,কারণ তারা জানে দেশের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পক্ষে লড়তে সদা প্রস্তুত।” জর্জ অরওয়েল।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও জাতীয়ঐক্যের প্রতীক।দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন,মুক্তিযুদ্ধোত্তর দেশ গঠন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং জাতিসংঘ মিশনে সততা ও দক্ষতার সাথে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালনের কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল।মূলত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে নিয়েই সশস্ত্র বাহিনী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি।অবশ্য বেসামরিক মানুষেরও অবদান কম নয়।সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রয়োজনে ও সকল সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যে কোন সংকটে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্যও সদা প্রস্তুত।
মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা:
“আল্লাহর পথে সীমান্ত পাহারা দেয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার উপর যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম।)
বিমান বাহিনী আমাদের আকাশের সীমান্ত পাহারা দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠিত হয়।ভারত সরকার বাংলাদেশকে মর্টার এয়ারক্রাফট, একটা ডাকোটা, ও দুটো হেলিকপ্টার প্রদান করে।এর ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পথচলা শুরু।দেরিতে পথচলা শুরু হলেও মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল বিমান বাহিনী।মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টারকে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সামরিক যুদ্ধ বিমানে রূপান্তরিত করে পাক হানাদার বাহিনীর উপর অসংখ্য সফল আক্রমণে তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস করে।পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন পশ্চিম পাকিস্তানে বিমান বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থান বাংলাদেশকে বাঁচাতে বাংলাদেশের লোক এগিয়ে আসেন এবং ১১৩১ জন বীরযোদ্ধা নিয়মিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাহিনীকে করেছেন গর্বিত।তাঁদের মধ্যে একজন বীরশ্রেষ্ঠসহ
২২জন বীরযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদানের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খেতাবে ভূষিত হন।দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমান ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট পাকিস্তানের মশরুর বিমান ঘাঁটি থেকে একটি টি-৩৩ বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেন।কিন্তু বিমানটি পাকিস্তান – ভারত সীমান্তে বিধ্বস্ত হলে তিনি মতিউর রহমান শাহাদত বরণ করেন।নবগঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণ ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পাক-হানাদারদের উপর প্রথমে অটার বিমান এবং এ্যালুয়েট হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আক্রমণ পরিচালনা করে।১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এভাবে ৪৫টির অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সাথে পরিচালনা করা হয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের ইস্টার্ণ রিফাইনারি তেল ডিপো,নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেল ডিপো, সিলেট,শ্রীমঙ্গল,কুমিল্লার দাউদকান্তি, নরসিংদী এবং ভৈরববাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সফল অপারেশনের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর বিপুল ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়।এর ফলে শত্রুর অপারেশনাল কার্যক্রমের ক্ষমতাসহ যুদ্ধ পরিচালনারর মনোবল হ্রাস পায় যা আমাদের মহান বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ করে নতুন মাত্রা।
মুক্তিযুদ্ধে সেনা বাহিনীর ভূমিকা :
“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, একটি ফুলের জন্য মোরা অস্ত্র ধরি।”
১০-১৫ জুলাই ১৯৭১ অনুষ্ঠিত সেক্টর কমান্ডার ও উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে সরকারের বৈঠক ও সম্মিলনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ১২জুলাই, একটি নিয়মিত বাহিনী বা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অংশগ্রহণকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনী, ইপিআর ও পুলিশের বাঙালি সদস্যগণের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী গঠিত হয়।সেনাবাহিনীর নিয়মিত ব্যাটালিয়নকে তিনচি ব্রিগেডে বিভক্ত করা হয়।সেনাবাহিনীর তির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান,মেজর সফিউল্লাহ ও মেজর খালেদ মোশাররফের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে যথাক্রমে জেড ফোর্স,এস ফোর্স এবং কে ফোর্স নিয়ে ব্রিগেড ফোর্সগুলো গঠিত হয়।তাঁরা বেসামরিক মানুৃষকে অস্ত্র চালনা শিখিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে এবং প্রত্যক্ষভাবেও অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর ভূমিকা:
“আমাদের সুবিশাল সমুদ্র এলাকা ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় একটি সুপ্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী নৌবাহিনী অত্যাবশ্যক। ” [বঙ্গবন্ধু, ১০ডিসেম্বর ১৯৭৪]
পাকিস্তান নৌবাহিনীর আট বাঙালি সদস্যের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় কমান্ডো ট্রেনিং প্রদান করে।পরবর্তিতে নৌকামান্ডোর সংখ্যা হয় ৫১৫ জনে।২ আগস্ট থেকে নৌকামান্ডোর গেরিলা হামলা শুরু এবং কমান্ডো বাহিনীই ১৫ আগস্ট ‘অপারেশন জ্যাকপট’- পরিচালনা করেন।নৌকামান্ডো গঠনের মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী’- গঠনের প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।২১ নভেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা:
স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রতিরোধের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রথম যে বুলেটটি পাকিস্তানীদের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা ছিল রাজারবাগ পুলিশেরই।পাকিস্তানী হানাদার কর্তৃক রাজারবাগ ও ঢাকা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদটি প্রথম রাজারবাগের ওয়্যারলেস বেইজ থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ প্রচার করা হয়।ফলে ঢাকা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ জানতে পেরে বাংলাদেশের অধিকাংশ থানা ফাঁড়ির পুলিশ তাদের অস্ত্র ও গুলি সরিয়ে ফেলতে সমর্থ হয় যা পরবর্তিতে ব্যাপকহারে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহান করা হয়েছিল।যুদ্ধ চলাকালে রাজারবাগের মুক্তিকামী পুলিশ সদস্যরা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, অনেক জায়গায় সাধারণ জনগণকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়,তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত, উদ্বুদ্ধ করে এবং নিজেরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে।।
সশস্ত্র বাহিনীর উপর অমানুষিক নির্যাতন :
কোন অভিযানে ধরা পড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। তাদের নিষ্ঠুর ও লোমহর্ষক অত্যাচারের মধ্যে চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা,মুখ তেথলে দেওয়া,বেয়নেট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃৎপিন্ড উপড়ে ফেলা,আঙ্গুরে সূঁচ ফুটানো,নখ উপড়ে ফেলা,শরীরের চামড়া কেটে লবণ ও মরিচ দেওয়া ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা,তবুও তাদের থেকে কোন তথ্য বের না হওয়ায় হত্যা করে নদী,জলাশয়ে,গর্তে ফেলে রাখত পাকিস্তানীরা।
উপসংহার:
“যুদ্ধ জয়ে ইচ্ছা ছাড়া যুদ্ধে যাওয়া ধ্বংসাত্মক। ” ডগলাস ম্যাকআর্থার
সত্যিই বাংলাদেশের সবাই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল বলেই আমরা এতো কম সময়ে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করি।বাঙালিরা ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর,বাংলাদেশ স্বাধীন কর’- স্লোগানের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দিকে চূড়ান্তভাবে অগ্রসর হয় এবং সফলও হয়।আজ আমাদের দায়িত্ব এক সমুদ্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করা।
২। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গুরুত্ব এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া কীরকম প্রভাব ফেলবে তার তুলনামূলক আলোচনা করুন।
উত্তরঃ আমাদের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রধানত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। দেশে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার না হলে এবং পুরনো গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি না পেলে ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভবপর হবে না। তাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিচের গুরুত্বসমূহ বহন করবে।
* দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি।
* বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুমুখী জ্বালানির ব্যবহার।
* বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস হিসেবে কয়লাকে চিহ্নিতকরণ।
* বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার।
* বিদ্যুৎ খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ পরিবহণ ও বিতরণ ব্যবস্থায় অপচয় রোধ।
* প্রতিবেশি দেশসমূহ হতে বিদ্যুৎ আমদানি।
*যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে নিরাপত্তার ঝুঁকিও অনেক কম।
*অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার নিত্তনৈমিত্তিক খরচ(operating cost) অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় অনেক কম।
*তৃতীয় প্রজন্মের রিয়্যাক্টর ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আয়ুষ্কাল প্রায় ৬০ বছর যা অন্যান্য জ্বালানি নির্ভর উৎপাদন কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি।
*পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ নেই বললেই চলে।
উপর্যুক্ত নীতিগুলোর মধ্যে পরমাণু শক্তি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যতম। পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, মূল্য সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় বিশ্ব জ্বালানি মিশ্রণে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম-২৩৫ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্বন, সালফার ও নাইট্রোজেন যৌগ নিঃসরণ হয় না।
তাছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা ব্যয় যে কোন জীবাশ্ম জ্বালানির প্ল্যান্টের চেয়ে অধিক সাশ্রয়ী। অধিকাংশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের আয়ুষ্কাল ৬০ বছর এবং পরবর্তীতে তা ৮০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যায়। যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের আয়ুষ্কাল সর্বোচ্চ ২৫ বছর।
পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকে নবায়নযোগ্য (যেমন বায়ু বা সৌর) বিদ্যুতের সাথেই তুলনা করেন। কয়লা বা
গ্যাসভিত্তিক পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষণের ফলে যে ক্ষতি হয়, সেটিকে যদি ঐ পদ্ধতিতে উৎপাদিত খরচের সাথে যোগ করা হয়, তাহলে পারমাণবিক বিদ্যুতের
অর্থনৈতিক সুবিধা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা ঝূঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েই প্রকল্প পরিচালনার কাজ চলছে।
পরিশেষে বলতে চাই, দেশে দ্রুতবর্ধনশীল বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সরকার যে বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে সেটি
প্রশংসনীয়। তবে, অতীতের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মতো এতো বড় একটি বাজেটের প্রকল্প দূর্নীতি-গাফিলতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়ুক সেটি এদেশের মানুষ দেখতে চায় না। দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দিককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবং দূর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স
দেখিয়ে ঘোষিত সময়ের মধ্যে, উপযুক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হোক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
৩। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে করণীয়।
উত্তরঃ
দেশের আভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা চলছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের চাকাও শ্লথ ও নানাবিধ সঙ্কটের মুখে পড়েছে। বৈদেশিক রেমিটেন্স আয় এবং কর্মসংস্থানে অবদানের ক্ষেত্রে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রধান সেক্টর গার্মেন্টস শিল্পের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত। এই দুই সেক্টরের মধ্যে কোনটি বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা নিরূপণ করাও এখন দূরূহ। এহেন বাস্তবতায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতের যে কোন সঙ্কট দেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক বেশী গুরুত্ব বহন করে।
সৌদি আরব, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মত বন্ধুপ্রতিম মুসলিম দেশগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে বিশেষ সুবিধার কথা বিবেচিত হয়ে আসছে তাতে এত দীর্ঘ সময় ধরে অচলাবস্থা থাকা অস্বাভাবিক ব্যাপার। যেখানে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ লক্ষাধিক শ্রমিকের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে, সেখানে প্রায় ২০ ভাগ প্রবৃদ্ধি ধরে ২০১৮ সালে লক্ষ্যমাত্রা ১২ লাখ নির্ধারণ সঠিক ছিল। তবে লক্ষ্য পুরণে যে সব প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান রয়েছে তা দূর করে সে লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এ খাতে অভাবনীয় ধস নেমেছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের এমন ধস নামার কোন সঙ্গত কারণ নেই। গত বছরের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের চালচিত্র বিশ্লেষণ করলে এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে অর্জন তার প্রায় পুরোটাই বেসরকারী খাতের। সরকারী পর্যায়ে জিটুজি, জিটুজি-প্লাস ইত্যাদি পরিকল্পনায় গৃহিত উদ্যোগগুলো ব্যর্থ হওয়ার কারণেই বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে এমন ধস সৃষ্টি হয়েছে কিনা সংশ্লিষ্টদের তা বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারী মিশনগুলোর ব্যর্থতা এখানে সুস্পষ্ট।
সরকারের ধারাবাহিকতায় নতুন বছরে দেশে নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হতে চলেছে। দেশের আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মত অতিব গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সেক্টরের পুরনো সমস্যাগুলো দূর করতে নতুন ভাবে মূল্যায়ন ও উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যতই দিন যাচ্ছে বৈদেশিত কর্মসংস্থানের গতি যেন শ্লথ হয়ে আসছে। প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায়, নভেম্বর মাসে ৭০ হাজারের বেশী শ্রমিক বিদেশে গেলেও ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৫০ হাজারের কম। আমাদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতের সম্প্রসারণ ও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পেছনে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন বা বায়রার বিশেষ ভ‚মিকা রয়েছে। এ খাতের বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে সরকারী-বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরকে আরো কার্যকর ও গতিশীল পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন মন্ত্রীসভায় একজন দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিতে হবে।
৪। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে করণীয়।
উত্তরঃ
আশা-নিরাশার দোলাচালে দোদুল্যমান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। এর শেষ কোথায়, এখনও অজানা। তবুও হাল ছাড়ার সুযোগ নেই। যে করেই হোক, পোঁছাতে হবে গন্তব্যে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক জাতিগত নিধন তথা গণহত্যার কারণে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এলে এটি বিশ্বের আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এলে বিপুলসংখ্যক ২০১৭ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ঠাঁই করে দিতে সরকারকে বেশ হিমশিম খেতে হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চীন, রাশিয়া, ভারত ও জাপানকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে কুটনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই আশা করতে পারি, রোহিঙ্গা সংকটের বরফ গলবে। তবে আমাদের নীতি নির্ধারকদের যে বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি তা হল- ‘প্রটেক্টেট রিটার্ন টু প্রটেক্টেট হোমল্যান্ড’ নীতি বাস্তবায়ন করা। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চাইলেই তারা যাবে না, কারণ তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পৈচাশিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে- এটা ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। রোহিঙ্গাদের মনে আস্থা তৈরির পাশাপাশি পুনর্বাসন কার্যক্রম সফল করতে চাইলে বিচক্ষণ কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে চীন, রাশিয়াসহ অন্যান্য ক্ষমতাধর দেশগুলোর সহায়তায় যে কাজগুলো আমাদের করতে হবে, তা হল-
১. রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকারী সেনা ও কুশীলবদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনা।
২. রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আবাসভূমি তৈরির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা জাতিসংঘের তদারকি নিশ্চিত করা।
৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা।
৪. তাদের হারানো সহায়-সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়া।
ইংরেজি অংশ সমাধানঃ
1. Passage: The railroad…….
2. Why do you want to join NSI? Write in 100 words.
Try yourself…
3. Write a letter to your friend living in Australia describing the winter season in Bangladesh.
Try yourself…
গণিত অংশ সমাধানঃ
১. ১ মিটার গভীর একটি খোলা বর্গাকার চৌবাচ্চায় ৪০০০ লিটার পানি ধরে। এর তলার দৈর্ঘ্য কত?
সমাধানঃ
এখানে, ৪০০০ লিটার= ৪ ঘনমিটার
ধরি, চৌবাচ্চার দৈর্ঘ্য=প্রস্থ=x ( যেহেতু চৌবাচ্চা বর্গাকার তাই দৈর্ঘ্য=প্রস্থ হবে)
প্রশ্নমতে,
x*x*1 = 4
বা, x2 = 4
x =2
উত্তরঃ ২ মিটার
সমাধানঃ
২। উৎপাদকে বিশ্লেষণ: (ক) 8x^2-4x-1
সমাধানঃ
8x^2-4x-1
=1/2( 16×2- 8x-2)
= 1/2 ( 16×2- 8x+1 -3)
= 1/2 ( (4x-1)^2-(√3)^2)
= 1/2 ( 4x-1+√3) (4x-1-√3) Ans:
(খ) ax^2+(a^2+1) x+a
=ax2 + a2x + x +a
=ax (x +a) + 1 (x +a)
= (ax+1) (x+a) Ans: