বর্তমানে চাকুরীপ্রার্থীদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বিসিএস।এর অন্যতম কারণ হলো সম্মান,সামাজিক অবস্থান ও পিএসসির সচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর চাকুরীপ্রার্থীদের আস্থা।এই আস্থার কারনেই সর্বশেষ ৩৮ তম বিসিএসে প্রায় ৩.৫ লক্ষ প্রার্থী আবেদন করে।শুধু তাই নয় এখন বিভিন্ন টেকনিক্যাল সাবজেক্টে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও এখন বিসিএসের দিকে ঝুকছে।তারই ধারাবাহিকতায় ৩৬ তম বিসিএসে পররাষ্ট্রে ক্যাডারে প্রথম হয় একজন ডাক্তার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিসিএসে চাকুরীপ্রার্থীদের দীর্ঘসূত্রীতা নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
এ নিয়ে পূর্বেও আলাপ আলোচনা হলেও কোন সুরাহা হয়নি। যেমন একটি বিসিএসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ন্ত রেজাল্ট প্রকাশে ২.৫ বছর এবং সর্বশেষ গেজেট প্রকাশে সময় লাগছে ৩ বছরের অধিক সময়। যেটা একজন চাকুরীপ্রার্থীর জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
প্রিলিমিনারী,লিখিত,ভাইবা তিনটি ধাপের প্রতিটি ধাপে পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশে লাগছে যথেষ্ট সময়। এভাবে ভাইবা শেষে চূড়ন্ত রেজাল্ট প্রকাশ শেষে গেজেট প্রকাশ সময় লাগছে ৭/৮ মাস। যেমন, ৩৬ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩১ মে। চূড়ন্ত রেজাল্ট প্রকাশ হয় ১৭ অক্টোবর ২০১৭।
ইতোমধ্যেই ৩ বছর পার হলেও সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদান করতে পারেনি। গেজেট প্রকাশিত হয়নি চূড়ন্ত রেজাল্ট প্রকাশের ৮ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও। রেজাল্টের পরে গেজেট প্রকাশের দীর্ঘ সময় তো আছেই।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা চাকুরী প্রার্থীদের মনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করে।হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে তারা। এতে করে একদিকে দীর্ঘ সময় পদ ফাকা থেকে যাচ্ছে অপরদিকে দেশও তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
যদিও গতবছর পিএসসি ১ বছরে একটি বিসিএস শেষ করার পরিকল্পনা জানায় কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন হয়নি। তাই যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আবেদন বিসিএস পরীক্ষায় এই দীর্ঘসূত্রীতা দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে চাকুরীপ্রার্থীদের ভোগান্তি লাঘব করুন এবং তাদের দ্রুততম সময়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে জাতীর কল্যানে কাজ করার সুযোগ দিন।
কৃষিবিদ আজমি
ঢাকা,বাংলাদেশ