সরকারি চাকরিতে প্রবেশে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। আজ বুধবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি থাকছে না।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে কোটা পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তাদের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠান।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, কমিটির রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। তিনটি সুপারিশ ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, কোটা বাতিল এবং কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর বিষয়ে যথাপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
মন্ত্রিসভা সচিব কমিটির তিনটি সুপারিশই অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, যদি কখনও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে সরকার তা করতে পারবে।
দু’তিন দিনের মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ-কালের মধ্যে আমরা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যে (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।
গত ১৭ অক্টোবর কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ সেটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বহাল আছে। মেধা কোটায় চাকরি হচ্ছে ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ৪৪ জনের।
এটিকে বৈষম্য দাবি করে চাকরি প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কোটা বাতিলের দাবি করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সগ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন ‘কোনো কোটাই থাকবে না’। সব নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।