গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ – বাক্য সংকোচন (বাংলা ব্যাকরণ)

এক কথায় প্রকাশ

যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে শুরু করে চাকরি নিয়োগ পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু এক কথায় প্রকাশ – বাক্য সংকোচন ।
Some important Contraction of Sentences for any exam – Bengali Grammar

বাংলা বর্ণমালার পদক্রম অনুসারে দেয়া আছেঃ 

 

অ—

অগ্রগামী= অগ্রে যে গমন করে।

অণুবীক্ষণ= অণুকে দেখা যায় যার দ্বারা।

আততায়ী= অতর্কিত অবস্থায় আক্রমণকারী।

দুর্নিবার= অতি কষ্টে যা নিবারণ করা যায়।

আতিথ্য= অতিথির আপ্যায়ন।

ইতিহাস= অতীত কাহিনী।

অত্যুক্তি= অধিক উক্তি।

অনুচিকীর্ষা= অনুকরণ করার ইচ্ছা।

অনুচিকীর্ষু= অনুকরণে ইচ্ছুক।

অপচিকীর্ষা= অপকার করার ইচ্ছা।

অনুসন্ধিৎসা= অনুসন্ধান করার ইচ্ছা।

অবশ্যম্ভাবী= অবশ্যই যা হবে।

অরিন্দম= অরিকে দমন করে যে।

অনুসূয়া= অসূয়া নেই এমন নারী।


পরোক্ষ= অক্ষির অগোচর।

প্রত্যক্ষ= অক্ষির সম্মুখে।

সমক্ষ= অক্ষীর সমীপে।

অবিমৃষ্যকারী= অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে যে কাজ করে।

অগ্রজ= অগ্রে জন্ম যার।

অনন্যোপায়= অন্য উপায় নেই যার।

কালান্তর= অন্য কাল।

অনন্যা= অন্য কারো প্রতি আসক্ত হয় না যে নারী।

অনন্যমনা= অন্য দিকে মন নেই যার।

দেশান্তর= অন্য দেশ।

অনূদিত= অন্য ভাষায় রূপান্তরিত।

নিমরাজী= অর্ধেক রাজী।

কাকনিদ্রা= অগভীর সতর্ক নিদ্রা।

মিতভাষী= অল্প কথা বলে যে।

ক্ষণিক= অল্পক্ষণের জন্য।

হ্রেষা= অশ্বের ডাক।

অকালপক্ব= অকালে যে পেকে গেছে।

প্রত্যুদ্‌গমন= অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা।

অশ্রুসিক্ত= অশ্রুর দ্বারা সিক্ত।

অস্ত্রোপচার= অস্ত্রের দ্বারা উপচার।

অহঙ্কারী= অহঙ্কার করে যে।


আ—

অতিথি= আগমনের কোনো তিথি নেই যার।

স্ফুলিঙ্গ= আগুনের ফুলকি।

নিরামিষ= আমিষের অভাব।

জাতশত্রু= আজন্ম শত্রু।

আটাশে= আট মাসে জন্ম যার।

বেয়াদব= আদব কায়দা জানে না যে।

অনাদি= আদি নেই যার।

সানন্দ= আনন্দের সঙ্গে বর্তমান।

বর্ণচোরা= আপনার বর্ণ লুকায় যে।

সংশপ্তক= আমৃত্যু যুদ্ধ করে যে।

অবগাহন= আবক্ষ জলে নেমে স্নান।

দুরারোগ্য= আরোগ্য হওয়া কঠিন এমন।

আশীবিষ= আশীতে বিষ যার।

মিতব্যয়ী= আয় অনুসারে ব্যয় করে যে।

বিহগ/ বিহঙ্গ= আকাশে গমন করে যা।

আত্মসর্বস্ব= আত্ম বিষয়কেই সর্বস্ব বলে মনে করে।

আদ্যন্ত/ আদ্যোপান্ত= আদি হতে অন্ত পর্যন্ত।

আত্মঘাতী= আপনাকে যে হত্যা করে।


ই—

ঐতিহাসিক= ইতিহাস রচনা করেন যিনি।

ঐরাবত= ইরাবতে জাত।

ঈদৃশ= ইহার তুল্য বা সদৃশ।

স্বেচ্ছাচারী= ইচ্ছামত কাজ বা আচরণ যে করে।

ঐচ্ছিক= ইচ্ছার অনুরূপ বা অধীন।

ইন্দ্রজিৎ= ইন্দ্রকে জয় করেছে যে।

জিতেন্দ্রিয়= ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি।

যথেষ্ট= ইষ্টকে অতিক্রম না করে।

ঈ—

আস্তিক= ঈশ্বরে যার বিশ্বাস আছে।

নাস্তিক= ঈশ্বরে যার বিশ্বাস নেই।

পীতাভ= ঈষৎ পীতবর্ণ।

আরক্ত= ঈষৎ রক্তবর্ণ।

আঁষেটে= ঈষৎ আমিষ্য গন্ধবিশিষ্ট।

রোগাটে= ঈষৎ রুগ্ন।


উ—

অনুচিত= উচিত নয় যা।

অকৃতজ্ঞ= উপকার স্বীকার করে না যে।

কৃতঘ্ন= উপকারীর অপকার করে যে।

অনুদিত= উদিত হয়নি যা।

উদীয়মান= উদিত হচ্ছে এমন।

ঔপন্যাসিক= উপন্যাস রচয়িতা।

বর্তমান= উপস্থিত আছে যা।

প্রত্যুৎপন্নমতি= উপস্থিত বুদ্ধি আছে যার।

সব্যসাচী= উভয় হাত যার সমান চলে।

বলাকা= উড়ন্ত পাখির ঝাঁক।

মণ্ডপ= উৎসবের নিমিত্ত নির্মিত গৃহ।

উষর= উর্বর নয় যা।

উহ্য= উল্লেখ করা হয় না যা।

ঊহ্য= উল্লেখ নেই অথচ যার অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়।

ঊ—

ঊর্ণনাভ= ঊর্ণা নাভিতে যার।

ঊর্ধ্বগতি= ঊর্ধ্ব দিকে গতি যার।

ঊর্ধ্বচারী= ঊর্ধ্ব দিকে বিচরণ করে যে।

উদ্বাহু= ঊর্ধ্ব বাহু যার।

অবতরণ= ঊর্ধ্ব থেকে নেমে আসা।


ঋ—

অধমর্ণ= ঋণ গ্রহণ করে যে।

উত্তমর্ণ= ঋণ দেয় যে।

দেউলিয়া= ঋণ শোধে অসমর্থ যে।

ঋণিতা= ঋণগ্রস্ত অবস্থা।

এ—

সদ্যোজাত= এইমাত্র জন্ম যার।

যাযাবর= একস্থান থেকে অন্যস্থানে ঘুরে বেড়ায় যে।

যুগসন্ধি= এক যুগের সারা/ অন্য যুগের শুরু।

কাকবন্ধ্যা= একবার সন্তান প্রসব করেন যিনি।

শ্রুতিধর= একবার শুনলেই যার মনে থাকে।

একগুঁয়ে= একদিকে গোঁ যার।

অজাতশত্রু= এখনও যার শত্রু জন্ময় নি।

সমসাময়িক= একই সময়ে বর্তমান।

যুগপৎ= একই সঙ্গে।

সহোদর= একই মায়ের পুত্র।

সমকালীন= একই কালে বর্তমান।

সতীর্থ= একই গুরুর শিষ্য।

একাগ্রচিত্ত= একই বিষয়ে নিবিষ্ট চিত্ত যার।

ভস্মীভূত= এখন ভস্মে পরিণত হয়েছে।


ঐ—

ঐশ্বর্যবান= ঐশ্বর্যের অধিকারী যিনি।

প্রাগৈতিহাসিক= ঐতিহাসিক কালের পূর্ববর্তী।

ও—

তুলাদণ্ড= ওজন পরিমাপক।

ঔ—

ঔষধ= ঔষধি থেকে জাত।

ক—

বাগীশ= কথায় পটু।

অবলা= কথা যে বলতে পারে না।

অনির্বচনীয়= কথায় যা প্রকাশ করা যায় না।

দৌহিত্র= কন্যার পুত্র।

আকণ্ঠ= কন্ঠ পর্যন্ত।

বন্ধুর= কোথাও উঁচু কোথাও নিচু।

দোদুল্যমান= ক্রমাগত দুলছে এমন।

যক্ষ= কুবেরের ধন রক্ষক।

কদাকার= কুৎসিত আকার যার।

কৃষিজীবী= কৃষি যার জীবিকা।

আগাছা= কোনো উপকারে আসে না যে গাছ।

অকুতোভয়= কোনো কিছু থেকেই যে ভীত নয়।

লিপ্সা= কোনো কিছু পাবার ইচ্ছা।

পথিকৃৎ= কোনো বিষয়ে নতুন পথ নির্দেশ করে যে।

ক্ষণপ্রভা= ক্ষণস্থায়ী প্রভা যার।


ক্ষয়মান= ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে যা।

ক্ষমার্হ= ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য।

কর্মঠ= কর্মে অতিশয় দক্ষ।

ত্রমবর্ধমান= ক্রমশই বর্ধিত হচ্ছে যা।

কিংকর্তব্যবিমূঢ়= কি করতে হবে তা যে বুঝতে পারে না।

অজ্ঞাতসারে= কেউ জানতে না পারে এই রূপ ভাবে।

যথাক্রমে= ক্রমকে বজায় রেখে।

ক্রমাগত= ক্রমে এসেছে।

খ—

নাতিশীতোষ্ণ= খুব শীত নয় খুব গরমও নয়।

পাটনী= খেয়া পার করে যে।

খ্যাতিমান= খ্যাতি আছে যার।

গ—

গজানন= গজের মুখের মত মুখ যার।

বাথান= গবাদি পশুর পাল।

প্রজ্ঞা= গভীর জ্ঞান।

অগোচরে= গোচরে নয় যা।

গুপ্তচর= গোপনে সংবাদ সংগ্রহকারী।

গোধূলি= গরুর পা থেকে ধূলো ওড়ে যখন।

গোমুখ= গরুর মুখের মতো মুখ।

রম্ভা= গরুর ডাক।

সুগ্রীব= গ্রীবা যার সুন্দর।

নিশীথ= গভীর রাত্রি।


ঘ—

প্রতিবেদন= ঘটনার বিবরণ দান।

হা-ঘরে= ঘরের অভাব যার।

ঘৃণ্য= ঘৃণার যোগ্য।

ঘর জামাই= ঘরে পালিত যে জামাই।

হা-ঘর= ঘর নেই যার।

চ—

সনেট= চতুর্দশপদী কবিতা।

সম্প্রচার= চতুর্দিকে প্রচার।

চশমখোর= চক্ষু লজ্জা নেই যার।

চৌরাস্তা= চার রাস্তার মিলনস্থল।

চৌপায়া= চার পা বিশিষ্ট।

চোষ্য= চুষে খেতে হয় এমন।

অশ্রু= চোখের জল।

চর্ব্য= চিবিয়ে খেতে হয় যা।

চাক্ষুষ= চক্ষুর সম্মুখে।

পরোক্ষ= চক্ষুর আড়ালে।

নশ্বর= চিরস্থায়ী নয় যা।

চিরস্থায়ী= চিরকালব্যাপী স্থায়ী।


ছ—

ষাণ্মাসিক= ছয় মাস অন্তর।

ছায়াতরু= ছায়া প্রধান তরু।

জ—

জনাকীর্ণ= জনবহুল স্থান।

উভচর= জলেও চরে স্থলেও চলে।

জলজ= জলে জন্মে যার।

জলচর= জলে চরে যে।

জন্মান্ধ= জন্ম থেকে অন্ধ।

জয়ন্তী= জয়সূচক উৎসব।

জিগীষা= জয়লাভ করার ইচ্ছা।

দুর্জয়= জয় করা কঠিন এমন।

জাজ্বল্যমান= জ্বলজ্বল করছে এমন।

জিজ্ঞাসা= জানার ইচ্ছা।

আজানুলম্বিত= জানু পর্যন্ত লম্বিত।

জ্ঞাতব্য= জানা উচিত।

দম্পতি= জায়া ও পতি।

জীবন্মৃত= জীবিত থেকেও মৃতের মতো।

অজ= জন্ম নেই যার।

ঝ—

ঝঙ্কার= ঝন ঝন শব্দ।

মুক্তা= ঝিনুকের গর্ভজাত রত্ন।

ট—

মহাজনী= টাকা ধার দেয়ার কাজ।

ঠ—

শীতোষ্ণ= ঠাণ্ডা ও গরম।

শীতার্ত= ঠাণ্ডায় পীড়িত।

ড—

ডিম্বাণু= ডিম্বাশয়ের মধ্যে প্রাণকোষ।


ত—

তপোবন= তপস্যার নিমিত্ত বন।

তীরন্দাজ= তীর নিক্ষেপে ওস্তাদ।

ত্রিপদী= তিন পদের সমাহার।

তালব্য= তালু থেকে উচ্চারিত।

তার্কিক= তর্কশাস্ত্রে পটু।

তুরগ= ত্বরায় গমন করে যে।

ত্রিবেণী= তিন বেণীর সমাহার।

ত্রিফলা= তিন ফলের সমাহার।

ত্রিনয়ন= তিন নয়ন যার।

তাচ্ছিল্য= তুচ্ছ জ্ঞানে অবহেলা।

তুলোট= তুলা দ্বারা তৈরি।

থ—

থাপ্পড়= থাবার আঘাত।

দ—

অদম্য= দমন করা যায় না যাকে।

অকৃতদার= দার পরিগ্রহ করেন নি যিনি।

প্রতিদান= দানের বিপরীত।

দার্শনিক= দর্শনশাস্ত্র জানেন যিনি।

দ্বীপ= দুই দিকে অপ (জল) যার।

উপদ্বীপ= দ্বীপের সদৃশ।

দৈন্য= দীনের ভাব।

অপরাহ্ণ= দিবসের শেষভাগ।

মধ্যাহ্ন= দিবসের মধ্যভাগ।

পূর্বাহ্ণ= দিবসের প্রথমভাগ।

একাহারী= দিনে একবার মাত্র আহার করেন যিনি।


দুর্গম= দুষ্কর যেখানে গমন করা।

দ্বিজ= দুইবার জন্ম যার।

দিদৃক্ষ= দেখার ইচ্ছা।

দ্রষ্টব্য= দেখার যোগ্য।

দেশপ্রেমিক= দেশের প্রতি প্রেম আছে যার।

দুর্দমনীয়= দমন করা কষ্টকর যাকে।

ধ—

ধনঞ্জয়= ধন জয় করেন যিনি।

ধর্মাত্মা= ধর্মই আত্মা যার।

টংকার= ধনুকের শব্দ।

ধীমান= ধী শক্তির অধিকারী।

ধর্মিষ্ঠ= ধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান।

ধূলিসাৎ= ধূলায় পরিণত।

ন—

সৈকত= নদীর বালুকাময় তট।

নদীমাতৃক= নদী মাতা যে দেশের।

নবারুণ= নতুন সূর্য।

নবান্ন= নতুন অন্নের উৎসব।

নিক্কণ= নূপুরের ধ্বনি।

কুশীলব= নাটকের পাত্রপাত্রী।

অশোক= নাই শোক যার।

নির্মম= নাই মমতা যার।

নিরপেক্ষ= নাই পক্ষ যার।

বেঈমান= নাই ঈমান যার।

দিগম্বর= নাই আবরণ যার।

নাসিক্য= নাসিকা থেকে উচ্চারিত।

ন্যাকামি= ন্যাকার ভাব।

নৈয়ায়িক= ন্যায় শাস্ত্র জানেন যিনি।

স্বয়ংবরা= নিজেই পতি নির্বাচন করে যিনি।


পণ্ডিতস্মন্য= নিজেকে পণ্ডিত মনে করে যে।

জুগুপ্সা= নিন্দা করার ইচ্ছা।

অনাহূত= নিমন্ত্রণ না করা সত্ত্বেও যিনি উপস্থিত।

নবোঢ়া= নতুন বিবাহিত স্ত্রী।

নাবিক= নৌকা চালায় যে।

নাব্য= নৌ বা নৌকা চলাচলের যোগ্য।

প—

পথিক= পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে চলে যে।

পটুয়া= পট আঁকেন যিনি।

ঊনপাঁজুরে= পাঁজরের হাড় কম যার।

অনুজ= পরে জন্মেছে যে।

মিতভাষী= পরিমিত কথা বলে যে।

মিতাহারী= পরিমিত মতো খায় যে।

পঞ্চবটী= পঞ্চবর্ষের বমাহার।

পঞ্চানন= পঞ্চ আনন যার।

রজতজয়ন্তী= পঁচিশ বছর পূর্তির জন্য যে অনুষ্ঠান।

সুবর্ণজয়ন্তী= পঞ্চাশ বছর পূর্তির জন্য যে অনুষ্ঠান।

অনুগামী= পশ্চাতে গমন করে যে।

প্রাত্যহিক= প্রত্যহ যা করতে হয়।

বিবিক্ষু= প্রবেশে ইচ্ছুক।

বিবিক্ষা= প্রবেশ করার ইচ্ছা।

আদ্যন্ত= প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।

পেয়= পানের যোগ্য।


আপাদমস্তক= পা থেকে মাথা পর্যন্ত।

কাকলি= পাখির ডাক।

নিমরাজি= প্রায় রাজি।

প্রিয়ংবদা= প্রিয় কথা বলে যে নারী।

অর্ঘ্য= পূজার উপকরণ।

ভূতপূর্ব= পূর্বে ছিল এখন নেই।

অভূতপূর্ব= পূর্বে যা ঘটেনি।

দেদীপ্যমান= পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে যা।

অদৃষ্টপূর্ব= পূর্বে যা দেখা যায়নি।

পাদ্য= পা ধুইবার জল।

পিতৃব্য= পিতার ভ্রাতা।

প্রতিচিকীর্ষা= প্রতিকার করার ইচ্ছা।

প্রতিচিকীর্ষু= প্রতিকার করতে ইচ্ছুক।

ফ—

ওষধি= ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়।

দায়রা= ফৌজদারী উচ্চ আদালত।

মকরন্দ= ফুলের মধু।

জামদানি= ফুল তোলা মসলিন শাড়ী।


ব—

বকধার্মিক= বকের মতো কপট ধার্মিক।

নাবালক= বালকত্ব কাটেনি যার।

জ্যাঠামি= বয়ষ্ক লোকের ভাব।

মর্মর= বস্ত্র কিংবা পত্রের শব্দ।

সালতামামি= বর্ষের শেষে আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন।

অবর্ণনীয়= বর্ণনা করা যায় না যা।

বর্ণানুক্রমিক= বর্ণমালার ক্রম রক্ষা করে।

বর্ণচোরা= বর্ণ চুরি করে যে।

প্রবচন= বহু প্রচলিত উক্তি।

বুনো= বনে প্রতিপালিত।

উপ্ত= বপন করা হয়েছে।

উক্ত= বলা হয়েছে যা।

উদ্বাস্তু= বাস্তু হতে উৎখাত হয়েছে যে।

উদ্বায়ী= বাতাসে উড়ে যায় এমন।

উদ্বেল= বেলাকে অতিক্রান্ত।

বিদ্বান= বিদ্যা আছে যার।

বেলাভূমি= বালুকাময় ভূমি।

কৃত্তি= বাঘের চামড়া।

হুংকার= বাঘের ডাক।

মকমকি= ব্যাঙের ডাকের শব্দ।

জিবন= বিড়ালের ডাক।


ঝঙ্কার/নিক্কণ= বীণার শব্দ।

বৈয়াকরণ= ব্যাকরণ জানেন যিনি।

দিগ্বিজয়ী= বিভিন্ন দিক জয় করেছেন যিনি।

অন্যপূর্বা= বাগদত্তা হয়ে যে নারীর বিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে হয়।

প্রবাসী= বিদেশে থাকে যে।

যথাবিধি= বিধিকে অতিক্রম না করে।

বিশ্বজিৎ= বিশ্বকে জয় করেছে যে।

বীণাপাণি= বীণা পাণিতে যার।

বীরপ্রসূ= বীর সন্তান প্রসব করে যে।

শীকর= বৃষ্টির জল।

মাধুকর= বহু গৃহ হতে ভিক্ষা সংগ্রাহক।

অবিমৃষ্যকারী= বিচার করে কাজ করে না যে।

ভ—

ভাজক= ভাগ করে যে।

ভাবী= ভবিষ্যতে হবে এমন।

নির্ভীক= ভয় নেই যার।

ভৃত্য= ভরণের যোগ্য।

ভবিতব্য= ভবিষ্যতে যা ঘটবে।

বুভুক্ষা= ভক্ষণের ইচ্ছা।

বুভুক্ষু= ভক্ষণের ইচ্ছুক।

সুড়ঙ্গ= ভূ-গর্ভস্থ পথ।

অভিকর্ষ= ভূ-কেন্দ্রের দিকে জড় পদার্থের আকর্ষষ।

দুর্ভিক্ষ= ভিক্ষার অভাব।

বিভ্রমিষা= ভ্রমণ করার ইচ্ছা।

গুঞ্জন= ভ্রমরের শব্দ।

ভৌগোলিক= ভূগোল সম্বন্ধীয়।

অপরিণামদর্শী= ভবিষ্যৎ কি হবে দেখে যে।

ভস্মীভূত= ভস্মে পরিণত হয়েছে যা।

সন্নিবেশ= ভেতরে প্রবেশ।

নির্বাণ= ভোগ যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি লাভ।


ম—

মৃৎশিল্পী= মাটি দিয়ে শিল্পকর্ম করে যে।

মৃন্ময়= মুত্তিকার দ্বারা নির্মিত।

মানসিক= মনের ভাব।

মানসাঙ্ক= মনে মনে করা অঙ্ক।

মনোজ= মনে জন্মে যা।

লোকহিত= মনুষ্য জাতির কল্যাণ।

মধুপ= মধু পান করে যে।

মুমূর্ষু= মরতে বসেছে যে।

উপাবৃত্ত= মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন।

মাথাল= মস্তকের আচ্ছাদন।

সর্গ= মহাকাব্যের অধ্যায়।

কেকা= ময়ূরের ডাক।

উপসর্গ= মূল রোগে আনুষঙ্গিক অন্য রোগ।

মার্গ= মৃগ চলাচলের রাস্তা।

উপমন্ত্রী= মন্ত্রীর সদৃশ।

মৃতবৎ= মরার মতো।

শিরোধার্য= মাথা পেতে নেয়ার যোগ্য।

মুমুক্ষু/ মুক্তিকামী= মুক্তি পেতে ইচ্ছুক।

মুমুক্ষা= মুক্তি পেতে ইচ্ছা।

প্রতিমূর্তি= মূর্তির ন্যায় যা।


য—

যাদব= যদু বংশে জন্ম যার।

অনতিক্রম্য= যা অতিক্রম করা যায় না।

অবশ্যম্ভাবী/ভবিতব্য= যা ঘটবেই।

নগ= যা গমন করতে পারে না।

বর্ধিষ্ণু= যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ক্ষয়িষ্ণু= যা ক্রমাগত ক্ষয় পাচ্ছে।

উদীয়মান= যা উদিত হচ্ছে।

অভূতপূর্ব= যা আগে হয়নি।

ভূতপূর্ব= যা পূর্বে হয়নি।

অননুকরণীয়= যা অনুকরণ করা যায় না।

চিরন্তন= যা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে।

লেহ্য= যা চেটে খেতে হয়।

চোষ্য= যা চুষে খেতে হয়।

পাশবিক= যা পশুর উপযুক্ত।

পৈশাচিক= যা পিশাচের উপযুক্ত।

অনুক্ত= যা বলা হয়নি।

বক্তব্য= যা বলতে হবে।

অসম্ভব= যা হতে পারে না।


মৌখিক= যা শুধুমাত্র কথায় প্রকাশ করা হয়।

জলধি= যাতে জল ধারণ করে।

বেনামী= যাতে কোনো নামের উল্লেখ থাকে না।

প্রোষিতভর্তৃকা= যার স্বামী বিদেশে থাকে।

নামাঙ্কিত= যার নাম লিখিত আছে।

অজাতশ্মশ্রু= যার দাড়ি জন্মায়নি।

অজাতশত্রু= যার শত্রু জন্মায়নি।

বিপত্নীক= যার পত্নী বিগত হয়েছে।

যশস্বী= যার যশ আছে।

হৃতসর্বস্ব= যার সবকিছু চুরি হয়ে গিয়েছে।

অতিথি= যার আগমনের কোনো তিথি নেই।

একাগ্রচিত্ত= যার চিত্ত এক বিষয়ে নিবিষ্ট।

ন্যুজ্ব= যার পিঠ বেঁকে গিয়েছে।

প্রোষিতপত্নীক= যার স্ত্রী বিদেশে থাকে।

মুমূর্ষু= যার মৃত্যুকাল উপস্থিত।

অকিঞ্চন= যার কোনো কিছু চাওয়ার নেই।

অস্থাবর= যা স্থানান্তর করা যায়।

স্থাবর= যা স্থানান্তর করা যায় না।

পৌত্তলিক= যারা মূর্তি পূজা করে।

অনাথ= যার পিতা ও মাতা নেই।

অজ= যার জন্ম নেই।

বহুদর্শী= যিনি বহু দেখেছেন।

গবেষক= যিনি গবেষণা করেছেন।

বাগ্মী= যিনি বক্তৃতায় পটু।

স্মার্ত= যিনি স্মৃতিশাস্ত্র ভালো বোঝেন।

হীনমন্য= যিনি নিজেকে হীন মনে করেন।


বাচস্পতি= যিনি বাক্যে অতি দক্ষ।

যুধিষ্ঠির= যিনি যুদ্ধে স্থির থাকেন।

আগন্তুক= যে অপরিচিত ব্যক্তি হঠাৎ এসেছে।

কৈবল্য= যে অবস্থায় মানুষ দুঃখ পায়।

বনস্পতি= যে গাছে ফুল হয় না ফল হয়।

অকর্মণ্য= যে কর্মের অযোগ্য।

করদ= যে কর দেয়।

দুর্বাক= যে কটু কথা বলে।

নাছোড়বান্দ= যে ধরলে আর ছাড়ে না।

অনসূয়া= যে নারী অন্যের নিন্দা করে না।

অকৃতদার= যে দার পরিগ্রহ করেনি।

ঊষর= যে জমিতে কোনো ফসল হয় না।

অন্যপূর্বা= যে নারী পূর্বে অপরের স্ত্রী ছিল।

অসূর্যম্পশ্যা= যে নারী সূর্যকে দেখেনি।

পতিব্রতা= যে নারী স্বামীর প্রতি অনুরক্তা।

সুনয়না= যে নারীর চোখ সুন্দর।

পুনর্ভূ= নারীর (বিধবা) পুনরায় বিয়ে হয়েছে।

স্ত্রৈণ= যে স্ত্রী বশীভূত।

অনূঢ়া= যে মেয়ের বিয়ে হয়নি।

শুচিস্মিতা= যে নারীর হাসি শুচি।

সরীসৃপ= যে প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে।

বিভীষিকা= যে বিষয় ভীতি উৎপাদন করে।

চোরাবালি= যে বালির নিচে চোরা গহ্বর থাকে।

অগস্ত্যযাত্রা= যে যাত্রায় কেউ গমন করলে আর ফেরে না।


অধীত= যা অধ্যয়ন করা হয়েছে।

উড্ডীয়মান= যা উড়ে যাচ্ছে।

দুর্ভেদ্য= যা ভেদ করা দুঃসাধ্য।

ভঙ্গুর= যা সহজে ভেঙে যায়।

গুরুপাক/দুষ্পাচ্য= যা সহজে পরিপাক করতে পারা যায় না।

যুবজানি= যার জায়া যুবতী।

ক্ষণপ্রভা= যার প্রভা ক্ষণকাল স্থায়ী হয়।

নিঃস্ব= যার নিজের বলতে কিছু নেই।

বীতস্পৃহা= যে কোনো বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে।

তৃণভুক= যে তৃণাদি খেয়ে জীবণ ধারণ করে।

অশ্রুতিপূর্ব= যা পূর্বে শোনা যায়নি।

স্বয়ংবরা= যে নারী স্বয়ং পতি বরণ করে।

অর্বাচীন= যে বা যা প্রবীণ বা প্রাচীন নয়।

অগ্রজ= যে অগ্রে জন্মগ্রহণ করেছে।

অনুজ= যে পরে জন্মগ্রহণ করেছে।

হাতুড়ে= যে রোগ নির্ণয়ে হাতড়িয়ে মরে।

স্তন্যপায়ী= যে স্তন্য পান করে।

র—

রসনা= রস আস্বাদন করা হয় যার দ্বারা।

রঙ্গিলা= রঙ্গ পরিহাসে নিপুণা নারী।

দৃশ্যপট= রঙ্গমঞ্চে দর্শনীয় চিত্রপট।

সন্ধি= রাজনৈতিক চুক্তি।

কালনিশা= রাত্রির শেষভাগ।

শবনম= রাত্রের শিশির।

প্রত্যুষ= রাত্রি ও দিবসের সন্ধিক্ষণ।

ভেষজ= রোগ ভীতিকে জয় করে যা।

রবাহূত= রব শুনে এসেছে যে।


ল—

লক্ষণীয়= লক্ষ্য করার যোগ্য।

লিপ্সা= লাভের ইচ্ছা।

প্লবগ= লাফিয়ে চলে যা।

পাণ্ডুলিপি= লিখিত খসড়া।

শ—

অন্ত্যেষ্টি= শবদাহাদির চরম সংস্কার।

শতাব্দী= শত অব্দের সমাহার।

শতদল= শত পাপড়িযুক্ত ফুল।

শতবার্ষিকী= শতবর্ষ পূর্তির জন্য অনুষ্ঠান।

শরেণ্য= শরণ করার যোগ্য যিনি।

শারদ= শরৎকাল সম্পর্কিত।

শৈব= শিবের উপাসক।

ডমরু= শিবের বাদ্যযন্ত্র।

শ্রুতিধর= শুনলেই যার মনে থাকে।

ক্ষণজন্মা= শুভক্ষণে জন্ম যার।

শ্রাদ্ধ= শ্রদ্ধার সঙ্গে দেয়।

সুহৃদ= শোভন হৃদয় যার।

শত্রুঘ্ন= শত্রুকে হনন করে যে।


ষ—

হীরকজয়ন্তী= ষাট বছর পূর্তির অনুষ্ঠান।

ষোড়শী= ষোল বছর বয়স যে মেয়ের।

স—

সগোত্র= সমান গোত্র যার।

গুপ্তধন= সবার অজ্ঞাতে লুকানো ধন।

চিরহরিৎ= সব সময় হরিৎ যে কান্তার।

সর্বংসহ= সব কিছু সহ্য করে যে।

সবজান্তা/সর্বজ্ঞ= সব কিছু জানে যে।

সহচর= সঙ্গে চলে যে।

ব্রাত্য= সংস্কার বিহীন ব্যক্তি।

কুলীন= সৎকুল জাত।

সরোজ= সরোবরে জন্ম যার।

বিপ্রতীপ= সম্পূর্ণ বিপরীত।

অভিনব= সম্পূর্ণ নতুন।

শাহনামা= সম্রাট বা রাজাদের বিবরণ।

সর্বজনীন= সর্বজনের কল্যাণে।

অন্তঃসারশূন্য= সার নেই যার মধ্যে।

বানি= স্বর্ণকারের মজুরি।

সস্ত্রীক= স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান।

সৌহার্দ্য= সুহৃদের ভাব।

সুপ্রভা= সুন্দর প্রভা যার।

সৌরি= সূর্যের পুত্র।

সৌম্য= সোমের পুত্র।

তান= সুরের ধ্বনি।

আসমুদ্রহিমাচল= সমুদ্র হতে হিমালয় পর্যন্ত।

নাদ= সিংহের ধ্বনি।

স্বয়ম্ভূ= স্বয়ং যে হয়েছে।


হ—

চতুরঙ্গ= হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকের সমাহার।

জিঘাংসা= হত্যা করার ইচ্ছা।

জিঘাংসু= হত্য করতে ইচ্ছুক।

অজিন= হরিণের চামড়া।

হররোলা= হরেকরকম কন্ঠস্বর সহ বলে যে।

সহর্ষ= হর্ষে সঙ্গে বর্তমান।

গজানীক= হস্তী আরোহী সৈন্যদল।

হিংস্রতা= হিংসার ভাব।

পিলখানা= হাতির বাসস্থান।

বৃংহতি/ বৃংহণ= হাতির ডাক।

খেদা= হাতি ধরা ফাঁদ।

জিহীর্ষা= হরণ করার ইচ্ছা।

জিহীর্ষু= হরণ করিতে ইচ্ছুক।

করভ= হাতির শাবক।

হিরন্ময়= হিরণ্য দ্বারা নির্মিত।

হিতৈষিতা= হিত সাধন করার ইচ্ছা।


মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Related posts

error: Content is protected !!