ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা

ভাষা মানুষকে মনের ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করে আর ব্যাকরণ সেই ভাষাকে সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃংখলাবদ্ধ করতে সাহায্য করে। ভাষার গতি ব্যাকরণের উপর নির্ভরশীল নয় তবুও ব্যাকরণ দিয়ে ভাষার পরিবর্তনের নিয়ম নির্ধারণ করা হয়।

ব্যাকরণ মেনেই ধ্বনি বদলে যায়, ভাষাও বদলে যায় এবং ব্যাকরণকেও বদলে যেতে হয়। ব্যাকরণ শব্দের অর্থ বিশেষভাবে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। বিভিন্নভাবে ব্যাকরণের সংজ্ঞা দেয়া যেতে পারে। যেমন : কোন ভাষায় ‘সঠিকভাবে’ বলা ও লেখার বিদ্যাকে ব্যাকরণ বলে। অথবা ভাষাকে বিশেষভাবে বিশ্লেষণ ও নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মকে ব্যাকরণ বলে। অথবা মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হলো ভাষা আর ভাষাকে শুদ্ধভাবে পড়তে, বুঝতে, লিখতে ও বলতে পারার নিয়মকে ব্যাকরণ বলে। অথবা যে নিয়মে ভাষা সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃংখলাবদ্ধ করা যায় এবং ভাষার স্বরূপ, প্রকৃতি ও প্রয়োগরীতি (ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব) সম্পর্কে ধারণা নেয়া যায় তাকে ব্যাকরণ বলে।

ব্যাকরণ হলো ভাষারাজ্যের সংবিধান যা মেনে চলতে হয়। না মানলে শৃঙ্খলা জটে পড়ে-ভাষা পথ হারায়। ‘বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা ব্যবহারিক ব্যাকরণ’ বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাকরণ হলো একটি ভাষা আমরা কীভাবে বলি তার নিয়মের সমষ্টি। কীভাবে উচ্চারণ করব তার নিয়ম, কীভাবে শব্দ তৈরি করব তার নিয়ম, শব্দকে জুড়ে কীভাবে পদবন্ধেরূপ দেব তার নিয়ম, আবার পদবন্ধ জুড়ে কীভাবে বাক্য নির্মাণ করব তার নিয়ম। এই নিয়মগুলো আগে থেকে তৈরি থাকে। প্রতিটি মানুষ যে ভাষার উত্তরাধিকার নিয়ে জন্মায় শিশু অবস্থা থেকে তাকে এই নিয়মগুলো আয়ত্ত করতে করতে এগোতে হয়। একসময় এই নিয়মগুলো তার মস্তিষ্কে সুশৃঙ্খলভাবে নিবন্ধ হয়ে যায়। এই মস্তিষ্কস্থিত ব্যাকরণই আমাদের কথা বলতে ও বুঝতে সাহায্য করে।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়: যে বিদ্যার দ্বারা কোনো ভাষাকে বিশ্লেষণ করিয়া তাহার স্বরূপটি আলোচিত হয় এবং ভাষার পঠনে ও লিখনে এবং তাহাতে কথোপকথনে শদ্ধরূপে তাহার প্রয়োগ করা যায়, সেই বিদ্যাকে সেই ভাষার ব্যাকরণ বলে। অথবা যে শাস্ত্রে কোন ভাষাকে বিশ্লেষণ করিয়া তাহার স্বরূপ, প্রকৃতি ও প্রয়োগনীতি বুঝাইয়া দেওয়া হয়, সেই শাস্ত্রকে বলে সেই ভাষার ব্যাকরণ।

ড. সুকুমার সেন: কোন ভাষার উপাদান সমগ্রভাবে বিচার বিশ্লেষণ যে বিদ্যার বিষয় তাহাকে সেই ভাষার ব্যাকরণ বলে।

ড. হুমায়ুন আজাদ: ব্যাকরণ বা গ্রামার বলতে বোঝায় এক শ্রেণির ভাষাবিশ্লেষণাত্মক পুস্তক যাতে সন্নিবিষ্ট হয় বিশেষ বিশেষ ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের সূত্রাবলি। বা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের সূত্রাবলিকে ব্যাকরণ বলে।

D. H Sweet: Grammar is the practical analysis of language its anatomy.

বাংলা ব্যাকরণের পরিচয়

বাংলা ভাষার ব্যাকরণ একদিনে তৈরি হয়নি। সংস্কৃত বাংলা ব্যাকরণের ভিত্তিভূমি হলেও কালক্রমে ইংরেজি ভাষার ব্যাকরণের প্রভাবও প্রবল। সংস্কৃত ও ইংরেজি ব্যাকরণবিদ সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষার দ্বারা বাংলা ব্যাকরণের রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। যেমন সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনি (‘অষ্টাধ্যায়ী’-দুইশত পঞ্চাশ বছর আগে রচিত), কত্যায়ন (বার্তিক), পতঞ্জলি (মহাভাষ্য) ও ভট্টোজি দীক্ষিতের (সিদ্ধান্তকৌমুদী) ব্যাকরণের সমন্বয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তৈরি করলেন ‘ব্যাকরণকৌমুদী’।

ব্যাকরণের সবগুলো নিয়ম একদিনে যুক্ত হয়নি। ১৮২০ সালে সন্ধিকে ব্যাকরণবদ্ধ করেন মথুরামোহন দত্ত। ১৮৫০ সালে সন্ধির বিস্তর ব্যবহার করেন শ্যামাচরণ সরকার। শুধু তাই নয়, ১৮৫৮ সালে তিনি সমাস (রামমোহন রায় সমাসের আলোচনা করেছিলেন নাম ছাড়া), লিঙ্গ, প্রত্যয়, ণত্ব-ষত্ববিধানও সংযুক্ত করেন। এর ওপর ব্যাকরণ সামগ্রিকভাবে আলোচনা করেন জয়গোপাল গোস্বামী ১৮৭৪ সালে। আর ব্যাকরণ পর্বে ছন্দ যোগ করেন ষাটের দশকে মধুসূদন শর্মা, অলংকার যোগ করেন রামগতি ন্যায়রত্ন ১৮৫৭ সালে। এর আগে ব্যাকরণ কৌমুদী-তে এসব পাওয়া যায় তবে সংক্ষেপ এবং পুরোটা সংস্কৃতের ছাঁচে গড়া। কৌমুদীতে উপসর্গ, অনুসর্গ ও প্রত্যয় আলোচনা হয় নাই। সংস্কৃত ও বাংলা ব্যাকরণ কী তা ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’ পাঠ করলে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।

কখনও সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য, কখনও ধর্মপ্রচার, কখনবা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে বহু বিদেশি জাতি ভারতবর্ষে এসেছে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার নিজের প্রয়োজন সিদ্ধ করার জন্যে বাংলা ভাষা সাহিত্যে-সংস্কৃতির চর্চা করেছেন। অষ্টাদশ শতকে আগত এইরকম কয়েকটি বিদেশি জাতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পর্তুগিজ, ফরাসি, ইংরেজ, ওলন্দাজ ইত্যাদি। এই সব জাতি এদেশের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার তাগিদে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তখন ভারতবর্ষের পূর্ব প্রান্তে ছিল এদের বড় ঘাঁটি। মূলত কলকাতাকেন্দ্রিক শিক্ষা-সংস্কৃতি এদের প্রেরণা দিয়েছিল। যেহেতু এখানকার ভাষা ছিল বাংলা তাই বাংলা শিক্ষার জন্য ব্যাকরণ রচনার তাগিদ অনুভব করেছিলেন। একদিকে ছিল নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য, অন্যদিকে খ্রিস্টধর্ম প্রচার। তাই সাধারণ বাঙালিদের মধ্যে দেশীয় ভাষায় ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ ও প্রচার করা অনিবার্য হয়েছিল। এই জন্যে অবিভক্ত বাংলার ঢাকায় একটি ‘ফিরিঙ্গি-বাংলা-খ্রিস্টান সাহিত্য’ সূচনা হয়েছিল।

যে নিয়মের মাধ্যমে বাংলাভাষাকে সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃংখলাবদ্ধ করা যায় সেই নিয়মকেই আমরা বাংলা ব্যাকরণ বলি।

ব্যাকরণের সংজ্ঞা

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯): যে শাস্ত্র জানিলে বাঙ্গালা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে, পড়িতে ও বলিতে পারা যায়, তাহার নাম বাঙ্গালা ব্যাকরণ।

মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী: যে শাস্ত্রে কোনো ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতির স্বরূপের বিচার বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে।

ড. সুকুমার সেন (১৯০০-১৯৯২): কোন ভাষার উপাদান সমগ্রভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ যে বিদ্যার বিষয় তাহাকে সেই ভাষার ব্যাকরণ বলে। বাংলা ব্যাকরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে শাস্ত্রে বাংলা ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতির বিচার ও বিশ্লেষণ এবং যে শাস্ত্রে জ্ঞান থাকলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, লিখতে ও শিখতে পারা যায় তাকে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ সংক্ষেপে বাংলা ব্যাকরণ বলে।

ড. মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০২-১৯৮২): যে শাস্ত্রের দ্বারা ভাষাকে বিশ্লেষণ করিয়া ইহার বিবিধ অংশের পারস্পরিক সম্বন্ধ নির্ণয় করা যায় এবং ভাষা রচনাকালে আবশ্যক মত সেই নির্ণীত তত্ত্ব ও তথ্য প্রয়োগ সম্ভবপর হইয়া উঠে, তাহার নাম ব্যাকরণ।

জ্যোতিভূষণ চাকী: যে ব্যাকরণ বাংলাভাষার ধ্বনি, শব্দ, পদ ও বাক্য ইত্যাদির বিশ্লেষণ করে ভাষার স্বরূপটিকে তুলে ধরে তাকেই আমরা বাংলা ব্যাকরণ বলতে পারি।

ব্যাকরণের প্রকরণ

নানানরকম বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে ব্যাকরণকে চার ভাগে বিভক্ত করেছেন। যেমন:

১. বর্ণনাত্মক ব্যাকরণ: এ জাতীয় ব্যাকরণে সাধারণত বিশেষ কোন কালে বা যুগে, কোন একটি ভাষার রীতি ও প্রয়োগ ইত্যাদি বর্ণনা করা এ ধরনের ব্যাকরণের বিষয়বস্তু এবং সেই বিশেষ কালের ভাষা যথাযথ ব্যবহার করতে সাহায্য করাই এই ব্যাকরণের উদ্দেশ্য।

২. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ: কোন একটি ভাষার উৎপত্তি থেকে চলমান সময় বা বর্তমান কাল পর্যন্ত সে ভাষার ক্রমবিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা করা এই ব্যাকরণের আসল লক্ষ্য।

৩. তুলনামূলক ব্যাকরণ: এই শ্রেণির ব্যাকরণ কোন বিশেষ সময়ের বিভিন্ন ভাষার গঠন, প্রয়োগরীতির তুলনামূলক আলোচনা করে থাকে তাকেই তুলনামূলক ব্যাকরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

৪. দার্শনিক-বিচারমূলক ব্যাকরণ: ভাষার অন্তর্নিহিত চিন্তাপ্রণালি আবিষ্কার ও অবলম্বন করে সাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে ভাষারূপের উৎপত্তির বিবর্তন কিভাবে ঘটে তার বিচার করাই এই ব্যাকরণের মূল উদ্দেশ্য।

মনের ভাব প্রকাশের জন্য ব্যাকরণের প্রয়োজন হয় না তবে ভাষাকে বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ অর্থাৎ সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ব্যাকরণের প্রয়োজন হয়। ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব অনেক।

বাংলা ব্যাকরণের বিষয়বস্তু বা পরিধি

ব্যাকরণের কাজ হলো ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ ও বাক্য সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করা। ব্যাকরণের কাজের উপর তার পরিধি নির্ভর করে। ব্যাকরণের কাজ যেহেতু অনেক সেহেতু এর পরিধিও বিস্তৃত। যেমন:

ভাষাতত্ত্ব: ভাষার পরিচয়, বাংলা ভাষার পরিচয়, বাংলা ভাষার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব, বাংলা ভাষার বিভিন্নরূপ।

ধ্বনিতত্ত্ব: ধ্বনি ও বর্ণ, বর্ণমালা ও লিপি, স্বরধ্বনি ও স্বরবর্ণের পরিচয়, ব্যঞ্জনধ্বনি ও ব্যঞ্জনবর্ণের পরিচয়, বাংলা উচ্চারণের নিয়ম, বাংলা বানানের নিয়ম।

রূপতত্ত্ব: শব্দ, শব্দভাণ্ডার, শব্দ বা পদের শ্রেণিবিভাগ, শব্দগঠনের উপায়।

বাক্যতত্ত্ব: বাক্য ও বাক্যের ধরন, বাক্য প্রকরণ, পদক্রম, উক্তি, যতি।

বাগর্থতত্ত্ব: অর্থ পরিবর্তন, অর্থের শ্রেণিবিভাগ, সমার্থক শব্দ, ভিন্নার্থক শব্দ, সমোচ্চারিত শব্দ ও প্রায়সমোচ্চারিত শব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ, বাক্য সংকোচন বা এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন, বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ।

নির্মিতি: অনুবাদ, অনুচ্ছেদ রচনা, দিনলিপি লিখন, অভিজ্ঞতা বর্ণনা, ভাষণ লিখন, প্রতিবেদন লিখন, বৈদ্যুতিন চিঠি (ই-মেইল) বা ক্ষুদেবার্তা লিখন, পত্র, আবেদনপত্র (জীবনবৃত্তান্ত সহ), মানপত্র লিখন, সারাংশ, সারমর্ম, সারসংক্ষেপ লিখন, ভাবসম্প্রসারণ, সংলাপ লিখন, ক্ষুদেগল্প লিখন, প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখন, প্রুফসংশোধন নির্দেশিকা।

এছাড়া ছন্দতত্ত্ব, অলংকারতত্ত্ব ও রসতত্ত্ব ব্যাকরণের আওতাভূক্ত।

ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব

ব্যাকরণের প্রয়োজন বা গুরুত্ব সম্পর্কে ড. এনামুল হক বলেছেন, ‘আলো, জল, বিদ্যুৎ, বাতাস প্রভৃতি সম্বন্ধীয় বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্য না জানিয়াও মানুষ বাঁচিয়াছে, বাঁচিতেছে ও বাঁচিবে। কিন্তু তাই বলিয়া ওই সমস্ত বস্তুর বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যকে মানুষ অস্বীকার করিয়া বর্তমান সভ্যতার গগন বিচুম্বী সৌধ নির্মাণ করিতে পারে নাই। ব্যাকরণ না জানিয়াও ভাষা চলিতে পারে কিন্তু ভাষাগত সভ্যতা না হউক, অন্তত ভব্যতার পত্তন বা সমৃদ্ধি হইতে পারে না। এই জন্য শিক্ষিত ব্যক্তির পক্ষে ব্যাকরণ সম্বন্ধীয় সাধারণ জ্ঞানের সহিত বিশেষ জ্ঞানও আবশ্যক।’ রাষ্ট্রের সকলের ব্যাকরণ পাঠ অবশ্যই প্রয়োজন। ব্যকরণ পাঠ বিভিনন্নে প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। যেমন :

ক) ভাষার গতিবিধি লক্ষ করে ভাষা বিশ্লেষণ করা যায় এবং সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যায়।

খ) উচ্চারণ সঠিক এবং বানান প্রমিত করা যায়।

গ) ছন্দ ও অলংকারের সঠিক প্রয়োগ-পদ্ধতি শেখা যায়।

ঘ) সাহিত্যের ছন্দ, অলংকার ও রস সম্পর্কে জানা যায়।

ঙ) ভাষাকে শুদ্ধভাবে পড়তে, বুঝতে, লিখতে ও বলতে পারা যায়।

চ) ভাষার মৌলিক উপাদান—ধ্বনি, শব্দ ও বাক্যের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায়।

ছ) ভাষার রূপ সম্পর্কে অর্থাৎ ধ্বনি, শব্দ ও বাক্য সম্পর্কে ধারণা নেয়া যায়।

জ) ভাষার মৌলিক অংশ বা বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপ নির্ণয়, গঠন ও প্রয়োগবিধি সম্পর্কে জানা যায়।

ঝ) বাক্যগঠন ও ভাব প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

ঞ) সাহিত্যের দোষগুণ সম্পর্কে জানা যায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যাকরণের কাজ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখেছেন—‘বাংলাভাষার নিয়ম বাহির করিয়া লিপিবদ্ধ করাই ব্যাকরণের কাজ বা উদ্দেশ্য।’

 

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Related posts

error: Content is protected !!