৩৮তম ও ৩৯তম বিসিএস এর পরীক্ষা কবে হবে, তা এই সপ্তাহে জানা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এ সপ্তাহে পিএসসির বিশেষ বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে পিএসসির একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘এ সপ্তাহে আমাদের একটি জরুরি বৈঠক হবে। সেখানে ৩৮তম ও ৩৯তম বিসিএসের পরীক্ষা কবে হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য আমরা কাজ করছি।’ তবে কবে এই ফলাফল প্রকাশ করা হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
পিএসসি সূত্র জানায়, চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন শেষ হয় গত ৩০ এপ্রিল। গত ১০ এপ্রিল এই বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রায় ৪০ হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নেসারউদ্দিন (ক্যাডার) বলেন, প্রায় ৪০ হাজার প্রার্থী এই বিশেষ বিসিএসে আবেদন করেছেন। এতে নির্ধারিক ফিসহ আবেদন জমা পড়েছে ৩৭ হাজার ৩১৯ জনের। ২ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থী ফি জমা দেওয়ার জন্য ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষমাণ আছেন। মোট ৩৯ হাজার ৯৫৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৫৪২ জন সহকারী সার্জন আর ২৫০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে। সব মিলে প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নেওয়া হবে এই বিসিএসে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা হবে। এতে ২০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে।
মেডিকেল সায়েন্স বা ডেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর করে এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বর করে মোট ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা হবে। প্রতি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর পিএসসি নির্ধারণ করবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৫০। লিখিত পরীক্ষা শুধু ঢাকায় হবে।
এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১৬ হাজার ২৮৬ জন ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন। তাঁরা এখন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা হওয়ার প্রায় দুই মাসের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। বিসিএসের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩৮তম বিসিএসে রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এর আগে ৩৭তম বিসিএসে অংশ নেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন পরীক্ষার্থী।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টি পদসহ ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদ থাকছে।